অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ সল্টু গোপগ্রাম ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওই উপজেলার গোপগ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের স্ত্রী।
জানা গেছে, চার সন্তানের জননী বৃদ্ধ হালিমা খাতুনের ছেলে মারা যাওয়ার পর ওই ছেলের নামে থাকা জমি ৬ ভাগের এক ভাগ হালিমা খাতুনের নামে হয়ে যায়। এছাড়া বৃদ্ধা হালিমার গোপগ্রাম বাজারে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের ভাড়ার টাকা দিয়ে মৃত ছেলের ৩ মেয়ে, ২ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কোনোভাবে অভাবের সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় ইউপি মেম্বার আ. সামাদ সল্টু সেই জমি হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধা হালিমা খাতুন বলেন, ‘আমাকে ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আমার সব কিছু কেড়ে নিয়েছে মেম্বার সল্টু। আমি সল্টু মেম্বারের বিচার চাই। আমার জমি ফেরত চাই।’
কীভাবে জানতে পারলেন যে সল্টু জমি দখল করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার যে দোকান ছিল দোকানের ভাড়া তুলতে গিয়ে সল্টু মেম্বার আমাকে জানায় এটা তোমার দোকান না এই দোকান এখন আমার। তুমি আমাদের কাছে দোকান ও জমি বিক্রি করে দিয়েছ।’
তার ছেলের বউ সালমা খাতুন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন দোকানের ভাড়াটিয়া আলতাব হোসেন দোকানের ভাড়া দেয় না। আমরা ভাড়া চাইতে গেলে তিনি বলেন তোমাদের দোকান ও জমি এখন আর নেই। ইউপি সদস্য সল্টু দোকান এবং জমি এখন তার দাবি করছে। তোমার শাশুড়ি সবকিছু লিখে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় গোপগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর বলেন, ইউপি সদস্য আ.সামাদ সল্টু ও ভাড়াটিয়া দোকানদার আলতাব হোসেন প্রতারণার মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার নমিনির টাকা তোলার নাম করে শ্রবন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার কাছ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। ঘৃণিত এ কাজের জন্য প্রতারক সল্টুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ সল্টু দাবি করেন, ওই বৃদ্ধা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই জমি তার নামে স্বেচ্ছায় লিখে দিয়েছে। এই জমি আমার।
বেশি বাড়াবাড়ি করলে ওই মহিলার বিপদ হবে বলে হুমকিও দেন তিনি।